Dainik Sotter Kontho- দৈনিক সত্যের কণ্ঠ
Dainik Sotter Kontho - দৈনিক সত্যের কণ্ঠ
ঢাকাMonday , 18 December 2023
  • অন্যান্য

সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ

ছবিঃ দৈনিক সত্যের কণ্ঠ

কনকনে শীতে কাবু হয়ে পড়েছে উত্তরের হিমপ্রবণ জেলা পঞ্চগড়ের মানুষেরা। গত কয়েকদিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। একদিন পর তাপমাত্রা বাড়লেও বরফ ঝরা শীত অনুভূত হচ্ছে এ জেলায়।

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার তিন ঘন্টা আগে ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শনিবার ১০ ডিগ্রির নিচে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়েছে এ জনপদে।

তাপমাত্রা রেকর্ডের তথ্যটি নিশ্চিত জানিয়েছেন প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ। তিনি জানান, গতকালের চেয়ে কিছুটা তাপমাত্রা বেড়েছে। কুয়াশা না থাকায় কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। এ অঞ্চলটি হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতের নিকটস্থ হওয়ায় শীত অনুভূত হচ্ছে। সামনে তাপমাত্রা আরও কমে আসবে বলে তিনি জানান।

বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, গত কয়েকদিন ধরেই ভোরে আলোর কিরণ ছড়িয়ে দেখা মেলে সূর্যের। কিন্তু রোদ উঠলেও রাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত অনুভূত হচ্ছে বরফের শীত। গ্রামীণ জনপদে নিম্ন আয়ের মানুষরা শীত নিবারণ করছে খড়কুটো জ্বালিয়ে। জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই সকাল সকাল কাজে যেতে দেখা যায় এ অঞ্চলে পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে নিম্ন আয়ের বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষদের।

গ্রামীণ নারীরা জানান, কুয়াশা না থাকলেও এখানে খুব ঠান্ডা। রাতে বৃষ্টির ফোটার মতো শিশির ঝরা শব্দ শোনা যায়। ঘরের মেঝে থেকে শুরু করে আসবাপত্র ও বিছানা পর্যন্ত বরফ হয়ে উঠে। সকালে গৃহস্থালী করতে গিয়ে কনকনে ঠান্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে আসে।
চা শ্রমিক ও পাথর শ্রমিকরা জানান, কুয়াশা নেই। তবে কনকনে শীত। ভোরে প্রচন্ড হিমশীতের মধ্যেই তারা চা বাগানে পাতা তুলতে এসে হাত-পা অবশ হয়ে আসছে। কিন্তু কী করব, জীবিকার তাগিদে কাজ করতে হচ্ছে। একই কথা বলেন নদীতে পাথর তুলতে যাওয়া শ্রমিকরা।

এদিকে শীতের কারণে বাড়তে শুরু করে বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়তে শুরু করেছে।

জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, প্রতি বছর এ জেলায় শীত বেশি থাকে। এবারও শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে শীতবস্ত্র চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। প্রকৃত গরিব, অসহায় ও শীতার্তদের মধ্যে এসব শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।

error: Content is protected !!