দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার বেশ কয়েকজন রসুন চাষীর সাথে সাক্ষাৎ করা হয় । বর্তমান ফলন ও বাজার মূল্য নিয়ে কথা হয়।
উপজেলার চারদিকে লেগেছে নতুন রসুন ঘরে তোলার আমেজ ।কেউ বিক্রি করতেছে জমিতেই আবার কেউ বিক্রি করছে কেটে ।
এই বছর খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহি,ভাবকী,বটতলী,৪নং খামারপাড়া ছাড়াও উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে রসুন চাষ হয়েছে।
খানসামা উপজেলার ৫নং ভাবকী ইউনিয়নের রসুন চাষী মো:দেলোয়ার হোসেন এ বছর সাড়ে তিন বিঘা জমিতে রসুন লাগিয়েছেন
তিনি বলেন:
গত কয়েক মাস আগে #আমাদের এলাকায় শীত জনিত ঘন কুয়াশা আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রসুনের ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিলাম ।
নানা ধরনের কীটনাশক আর সেচ ব্যবহার করে রসুনের গাছের বৃদ্ধি ও উন্নতি হয় । এতে অনেক টাকা ব্যায় হয়।
বর্তমানে আমার রসুনের আকার বেশ মোটা আমি আশা করি বিঘায় ৮০ মণ এর বেশি হবে ।
বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি যদি ১৩০ থেকে ১৫০টাকা করে স্থায়ী বাজার থেকে যায় তাহলে লাভ হবে। আরো বেশি হলে আরো ভালো হয়।
একই ইউনিয়নের রসুন চাষী মনোরঞ্জন দ্যা বলেন: এ বছর আমি দুই বিঘা জমিতে রসুন লাগাইছি আমার রসুনের সাইজ ও গাছ অনুযায়ী বর্তমান বাজারে আমার রসুনের বিঘা প্রতি ২ লক্ষ টাকা করে বিক্রি হবে যদি বাজার মূল্য স্থায়ী থাকে ।
এতে আমি অনেকটাই লাভ করবো ।
৬নং গোয়ালডিহি ইউনিয়নের রসুন চাষী সবুজ ইসলাম বলেন ;আমার এক বিঘা রসুন গাছ সহ জমিতে বিক্রি করি রসুন ব্যবসায়ীদের কাছে যার মূল্য ১ লক্ষ ৯০ হাজার ।
দিন দিন কমেই যাচ্ছে বাজার দাম,লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেন না অনেক কৃষক।