Dainik Sotter Kontho - দৈনিক সত্যের কণ্ঠ
ঢাকাSaturday , 3 June 2023
  • অন্যান্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

৩৫ বছর ধরে অন্যের কান পরিষ্কার করে বনে গেছেন লাখপতি

লাখ পতি শহিদুল ইসলাম রাখাল।

Google News

দিনাজপুর সদর উপজেলার ৮ নং উপশহরে এলাকার মৃত কেতু মামুনের ছেলে শহিদুল ইসলাম রাখাল ৩৫ বছর যাবত অন্যের কান পরিষ্কার করে চলছে তার দিন । সেখান থেকেই এখন তিনি লাখ পতি ।

দিনাজপুর শহরোস্থ বালুয়াডাঙ্গার এলাকার মৃত কেন্তু যামুনের ছেলে শহিদুল ইসলাম ওরফে রাখাল সারাদিন দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশন, জজকোর্ট প্রাঙ্গণসহ শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ১৯৮৮ সাল থেকে পথচারীদের কান পরিষ্কার করে চলে রাখালের সংসার ।

কোন প্রাতষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও জনৈক মিঠাপুকুর রংপুর নিবাসী বাদশা মিয়ার কাছ থেকে কাজ শিখেছেন রাখাল ।

হাতে- কলমে কাজ শিখে আজ সে স্বাবলম্বী, হয়েছে লাখপতি । পরিবারে রয়েছে তার ২ ছেলে এবং ২ মেয়ে মানুষের কানের ময়লা পরিস্কার করেই ছেলেমেয়ের লেখাপড়া করিয়ে বড় করে তুলেছেন রাখাল ।

ইচ্ছা থাকলে মানুষ যে কোন কর্ম বেছে নিয়ে জীবন যুদ্ধে জারী হতে পারে । তার জ্বলন্ত উদাহরণ হলো দিনাজাপুরের শহিদুল ইসলাম ওরফে রাখাল ।

হাস্যোজ্বল রাখাল এখন পর্যন্ত পথচারীদের কান পরিষ্কার অব্যাহত রেখেছেন । তার হাতের দক্ষতায় এখন পর্যন্ত কোন মানুষের কানের ক্ষতি হয়েছে এমনটি কেউ দাবী করতে পারেনি ।

শহিদুল ইসলামের কাছে জানতে চেয়েছিলাম কেন তার নাম’ রাখাল’ রাখা হয়েছে তিনি বলেন, ছোটবেলায় সে অন্যের গরু, ছাগল, মাঠে চড়াতেন, দেখাশোনা করতেন । সেই থেকে সকালে তাকে রাখাল বলে ডাকতেন । সেই থেকেই তার নামকরণ করা হয় শহিদুল ইসলাম ওরফে” রাখাল” ।

শহিদুল ইসলাম রাখাল আরো বলেন,
প্রথমে আমি রেলওয়ে স্টেশনে কোট কাচারিতে এবং পথে ঘাটে চকলেট বিক্রি করতাম, পরে আমার গুরু, বাদশা মিয়ার সেও অন্যের কান পরিষ্কার করত আমি দেখতাম । অন্যের কান পরিষ্কার করে তার আয় ভালো হত । সে দেখে আমি তার কাছে যাই এবং তার কাছে কাজ শিখা শুরু করি । পরে আমি ১৯৮৮ সাল থেকে অন্যের কানের ময়লা পরিষ্কার করছি । ১৯৮৮ সাল থেকে এ নিয়ে ৩৫ বছর ধরে এ কাজ করছি । আমার ইচ্ছে রয়েছে ৪০ বছর এ কাজ করব । এর কারণ হলো এর পরে আর চোখে ঠিক মতো দেখতে পাবো না এবং হাত কাঁপবে, এত করে অন্যের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । তাই আর ৫ বছর এপেশায় যুক্ত থাকবো পড়ে আর করবোনা ।

শহিদুল ইসলাম ওরফে রাখাল প্রায় ২০০০ সালের দিকে দেড় লক্ষ টাকা দিয়ে একটি জমি ক্রয় করেন । যেটির মূল্য বর্তমান পেক্ষাপটে ২৫ লাখ টাকা ।
ইচ্ছা থাকলেই ছোট পেশা থেকেও উন্নতি করা যায় তার উদাহরণ হল শহিদুল ইসলাম রাখাল ।