কিশোরগঞ্জে হাসপাতালে নার্সের অবহেলায় এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (১৩ মার্চ) সকালে ওই হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটেছে।
শিশুটির নাম আনিকা। মেয়েটি করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়নের মনসন্তোষ গ্রামের আল আমিনের মেয়ে।
শিশু আনিকার চাচা ফুরকান সাথে কথা বললে জানান, মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দিবাগত রাতে চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আনিকাকে। ভর্তির পর প্রথমে শরীরে স্যালাইন দেওয়া হয়। তারপর রাতে ধীরে ধীরে স্যালাইন চলে৷তারপর সকালে নার্স এসে স্যালাইনের গতি বাড়িয়ে দেয়। এরপর পাঁচ মিনিটের ভেতর পুরো স্যালাইন শেষ হয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরই আমার ভাতিজি মারা যায়।
তিনি বলেন, এই ঘটনার পর হাসপাতালের পরিচালক ডা. হেলাল উদ্দিনের কাছে মৌখিক অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে দুপুরে সাংবাদিকরা হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে প্রবেশ করলে দায়িত্বরত নার্সরা সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়ে উঠেন।
হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আঁখি রাণী বণিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা মেডিকেল কলেজ, এখানে দুই একটা বাচ্চা মারা যাবেই। এর আগেও সে চিকিৎসা নিয়েছে। পুনরায় আবার ভর্তি হয়েছে। রোগীর অবস্থা গুরুতর দেখে রেফার্ড করা হয়েছিল। তারা যায়নি এবং রিস্ক বন্ড দেয়নি। ডাক্তার ও নার্সরা চিকিৎসা দিয়েছে। তবুও যদি কারও গাফিলতি থাকে তাদের হাসপাতালের পরিচালক বিচারের আওতায় আনবেন। ঘটনার সময় নার্স ঝিনুক আক্তার, উম্মে সালমা নীরা ও চাঁদনী আক্তার দায়িত্বরত ছিলেন।
শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. হেলাল উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে রোগীর স্বজনরা অভিযোগ দিয়েছেন। দায়িত্বরত নার্স যারা ছিলেন তারা ডিউটি শেষে বাড়িতে চলে গেছেন। অভিযোগকারীদের বক্তব্য শোনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ডিউটিতে থাকা নার্সদের বক্তব্য শোনা হবে বলে জানান। তদন্ত করা হবে, তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।