বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ছাত্র হত্যার ঘটনায় হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের সাবেক আলোচিত সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তাকে রাজধানীর মিরপুর ৬ নম্বর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলাম ঢাকা মেইলকে এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তাকে মিরপুর এবং আদাবরের দুটি মামলার আসামি হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা গেছে, ব্যারিস্টার সুমনকে গ্রেফতার করেছে মিরপুর থানা পুলিশ। তবে আন্দোলনের সময় মিরপুর মডেল থানায় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের কারণে সেখানে আসামি রাখার মতো আপাতত জায়গা নেই। এ কারণে ব্যারিস্টার সুমনকে পল্লবী থানায় রাখা হয়েছে। আগামীকাল তাকে আদালতে তোলা হবে।
এর আগে রাত ১টা ২১ মিনিটে তিনি পুলিশের সঙ্গে যাচ্ছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেন, ‘আমি পুলিশের সাথে যাচ্ছি। দেখা হবে আদালতে। দোয়া করবেন সবাই।’
একটি ভিডিও বার্তাও দেন ব্যারিস্টার সুমন। সেখানে তিনি বলেন, প্রথমেই জানাতে চাই আমি দেশেই রয়েছি। ঢাকা শহরেই আছি। ৫ আগস্টের পর আমি কোথাও যায়নি। শুধুমাত্র নিরাপত্তার কারণে আমি গোপনে ছিলাম।
সুমন বলেন, ৫ আগস্টের পর অনেকেই আমাকে বলেছেন যে, তুমি বিদেশে চলে যাও। কিন্তু আমি যাইনি। আমার কাছে মনে হয়েছে যে, আমি কোনো দিন দুর্নীতি করিনি। ঢাকা শহরে আমার কোনো প্লট ও ফ্লাট নেই। তারপরও কেন আমি দেশ ছেড়ে যাব।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমার নামে যদি কোনো মামলা হয়ে থাকে তাহলে তা আইনের মাধ্যমে মোকাবিলা করব। যেহেতু আমি আইনজীবী, আইনের প্রতি আমার বিশ্বাস রয়েছে।
ব্যারিস্টার সুমন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিত মুখ এবং আলোচিত আইনজীবী। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতেও ছিলেন। গত জানুয়ারির নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে তিনি এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন এবং সরকারের পক্ষে জোরালো ভূমিকা পালন করেন। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে তিনি গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন।
Leave a Reply