পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে লাকি আক্তার (৩২) নামে এক সংরক্ষিত মহিলা ইউপির সদস্য ও তার আত্মীয়-স্বজনের হামলায় হাওয়া বেগম (৪২) নামে এক নারী আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় হাওয়াকে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত হাওয়া বেগম উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর ঝাঁটিবুনিয়া গ্রামের মোঃ জসিম হাওলাদারের স্ত্রী।
এ ঘটনায় আহত হাওয়া বেগম সোমবার (৫ জুন) বাদী হয়ে মির্জাগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।আসামিরা হলেন- আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য লাকি আক্তার,তার দেবর সোহেল মল্লিক, ফাহিম মল্লিক, শাশুড়ি মিনারা বেগম ও লাল মিয়া। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সোহেল মল্লিক এর নামে ওয়ারেন্ট ও বাকি আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, গভীর নলকূপ দেওয়ার কথা বলে ইউপি সদস্য লাকি আক্তার গত ৯ মাস পূর্বে বিভিন্ন খরচ আছে বলে হাওয়া বেগম’র কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নেয়। তখন তিন মাসের মধ্যে টিউবওয়েল পাইয়ে দেওয়ার কথা ছিল। নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পরে লাকি আক্তারের কাছে টাকা ফেরত চাইলে বিরোধ সৃষ্টি হয়। গত বৃহস্পতিবার (১জুন) আমার নিজ বাড়ির সামনে বসে টাকা ফেরত চাইলে সোহেল মল্লিক, লাকি আক্তার ও তার শাশুড়ি মিনারা বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে এলোপাতাড়ি কিল ঘুসি ও লাথি মেরে শরীরের রক্তাক্ত জখম করে। এ ঘটনা স্থানীয় ইউপি সদস্য ওয়ালিদ খানকে জানাতে গেলে পথে বসে সোহেল মল্লিক ও ফাহিম মল্লিক পরনে থাকা জামাকাপড় টেনে ছিড়িয়া জি.আই পাইপ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর যখম করে। পরের স্থানীয়রা উদ্ধার করে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর দেখে ভর্তি করেন।
অভিযোগের কথা স্বীকার করে ইউপি সদস্য লাকি আক্তার বলেন, তাদের সাথে হাতাহাতি হয়েছে। মারাত্মক মারামারি হয়নি। তারা শুধু শুধু আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে, অভিযোগের কোন সত্যতা নেই।