Dainik Sotter Kontho - দৈনিক সত্যের কণ্ঠ
ঢাকাFriday , 21 July 2023
  • অন্যান্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক জনপদ বিভাগের কাজে অনিয়মের অভিযোগ

Google News

সড়ক জনপদ বিভাগের কাজে অনিয়ম যেন এখন নিয়মে পরিনত হয়েছে। গেল কয়েকদিন আগে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া এলাকায় রাস্তার কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠে স্থানীয় ঠিকাদার জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে।
অনিয়মের পরেও ওই ঠিকাদার বিরুদ্ধে সড়ক জনপদ বিভাগ কর্তৃপক্ষ তেমন কোন ব্যবস্থা নেননি। ফলে এবার ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্টানের কর্মরতরা সদরের বিসিক শিল্পনগরী এলাকা থেকে রুহিয়া পর্যন্ত সড়ক সংস্কার কাজের শুরুতেই অনিয়ম করতে গিয়ে ধরা পরেন স্থানীয়দের হাতে। পাথরের বদলে ইটের খোয়া ব্যবহার করায় তাৎক্ষণিকভাবে কাজ আটকে দেন তারা।

গেল বুধবার (১৯ জুলাই) দুপুরে কাজ আটকে দিয়ে প্রতিবাদ জানায় স্থানীয়রা। সড়কটি পৌর এলাকায় মধ্যে থাকায় অনিয়মের বিষয়টি পৌর মেয়রকে জানানো হয়। পরে স্থানীয়দের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ছুটে যান ঘটনাস্থলে।
এসময় পৌরসভার মেয়রসহ সংশ্লিষ্টরা ঠিকাদার জামাল হোসেনের নিয়জিত লোকদের কাজ ভালভাবে করার নির্দেশনা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে ইটের খোয়া সরিয়ে ফেলেন শ্রমিকরা। যা রিতিমত স্বীকারও করেন তারা।

চোঁখের সামনে অনিয়মভাবে কাজ সম্পুর্ন করে সরকারের লাখ লাখ টাকা টাকা হাতিয়ে নিলেও সড়ক জনপদ বিভাগ ঠিকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অজ্ঞাত কারনে নিশ্চুপ। স্থানীয়রা দাবি করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের। সেই সাথে সড়কের কাজ ভাল হলে সাধারণ মানুষ চলাফেরায় সুবিধা পাবে বলে মনে করেন এলাকাবাসি।

আর ঠিকাদারের দায়িত্বর ইঞ্জিনিয়ার উজ্জল নামে একব্যক্তি জানান কাগজপত্রে ইটের খোয়া বা পাথর দিয়ে কাজ করতে হবে এমন উল্লেখ না থাকলেও ইটের খোয়া সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এখন পাথর দিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা জানান, স্থানীয়দের অভিযোগে বিষয়টি সত্য। ঘটনাস্থলে গিয়ে বলার পর ঠিকাদারের লোকজন ইটের খোয়া সরিয়ে ফেলে। পরে শুনেছি যেখানে যেখানে পাথর দেয়ার কথা তাই করেছেন তারা।

আর সড়ক জনপদ বিভাগের উপসহকারি অর্জন রায় অভিযোগের বিষয়টি সত্যতা পেয়েছেন জানিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে তা পরিবর্তন করা হয়েছে জানিয়ে বাকি বিষয় জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। বিস্তারিত জানতে হলে নির্বাহী প্রকৌশলীর শরণাপন্ন হতে পরামর্শ দেন।

সংশ্লিষ্ট বিভাগের তথ্য মতে, বিসিক শিল্পনগরী এলাকা থেকে রুহিয়া পর্যন্ত পৃথকভাবে প্রায় ২৮০০ মিটার কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা।