নীলফামারীর জলঢাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বন্ধুত্ব করার পর প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রেমিক সেজে অর্থ দাবি করে প্রতারণায়গ্রেফতার দুইজন ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদীনি একজন কলেজছাত্রী সালমা( ছন্দ নাম) । তার ফেসবুক আইডির মাধ্যমে মোঃ সেন্টু রহমান( ২০) এর ফেসবুক আইডির সাথে পরিচয় হয় । পরবর্তীতে তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠার মধ্যদিয়ে প্রেমের সম্পর্ক হয় ।
প্রেমের সম্পর্কের এক পর্যায়ে মোঃ সেন্টু রহমান কৌশলে কলেজছাত্রীর একান্ত ব্যক্তিগত ছবি তার ফেসবুক আইডি এবং ম্যাসেঞ্জারে নেয় । প্রেমিক সেন্টু রহমান সেই সব ছবি স্ক্রিন শর্ট এর মাধ্যমে স্থির চিত্র ধারণ করে ।
পরবর্তীত সেন্টু রহমান ও তার বন্ধু মোঃ সারোযার হোসেন( ২৫), মিলে ছবিগুলি কলেজছাত্রীকে দেখাইয়া বিভিন্ন সময় ব্লাকমেইল করে টাকা দাবি করে ।
পরবর্তীত সেন্টু রহমান ও তার বন্ধু মোঃ সারোযার হোসেন( ২৫), মিলে ছবিগুলি কলেজছাত্রীকে দেখাইয়া বিভিন্ন সময় ব্লাকমেইল করে টাকা দাবি করে ।
কলেজছাত্রী টাকা দিতে অস্বীকার করায় তারা তার একান্ত ব্যক্তিগত ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জারে পোস্ট করে এবং বাদীনিকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকলে কলেজ ছাত্রী বাধা হযে প্রেমিক সেন্টু রহমান, তার বন্ধু সারোয়ার হোসেন সহ অজ্ঞাত নামে নীলফামারীর জলঢাকা থানায় এজাহার দায়ের করেন ।
জলঢাকা থানার মামলা নং-০২/১৮৪, তারিখ-০১/০৮/২০২৩ খ্রিঃ, ধারা- পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮( ১)/( ২)/( ৩) ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, ২৭ আগস্ট ২৩ তারিখ বিকাল ৬ ঘটিকার সময় জেলা পুলিশ সুপার মোঃ গোলাম সবুর, পিপিএম-সেবা’র নির্দেশনায়, জলঢাকা থানা অফিসার ইনচার্জ, এর নেতৃত্বে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামীদের অবস্থান শনাক্ত করে নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর থানার শিবপুর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে সুকৌশলে আসামীদের গ্রেফতার করে জলঢাকা থানায় নিয়ে আসেন ।
আটককৃতরা হলেন নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর থানার শিবপুর, হাজীনগর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোস্তফা কামালের ছেলে মোঃ সেন্টু রহমান( ২৩) ও পরশা থানার, ঘাটনগর ইউনিয়নের বড়গ্রাম এলাকার বাসিন্দা সাইদুল রহমানের ছেলে মোঃ সারোযার হোসেন( ২৫), জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান আটককৃত আসামীগণ ঘটনার সহিত জড়িত থাকার বিবরণ দিয়ে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন । আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ ও অভিযান অব্যহত আছে ।