ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে ১১ বছরের শিশু সন্তানকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম( ৪৫) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।
সোমবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয় । পরে( ১৩ জুন) মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয় ।
এর আগে গত শনিবার উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের ফানুর গ্রামে হামলার এ ঘটনা ঘটে । আহত শিশুর নাম মুশফিকুর রহমান রাহিন( ১১) । সে ওই এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে । এ ঘটনায়( ১২ জুন) সোমবার আহত শিশুর বাবা বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । রাতেই পুলিশ অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে । পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপ- পরিদর্শক( এসআই) সাদী মোহাম্মদ অভিযান চালিয়ে এ মামলার প্রধান আসামি রফিকুলকে গ্রেফতার করেন ।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- রফিকুল ইসলামের ভাই মো. শফিকুল ইসলাম( ৫৫), শফিকুলের ছেলে হুমায়ূন( ২৬) ও স্ত্রী আছমা আক্তার( ৪৭), রফিকুলের স্ত্রী আকলিমা আক্তার( ৩৭) ।
উল্লেখ্য, উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের ফানুর এলাকার মজিবুর রহমানের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল একই এলাকার রফিকুলসহ তাঁর ভাইদের সঙ্গে । এ অবস্থায় গত শনিবার মজিবুরের শিশুসন্তান মুশফিকুর রহমান রাহিন স্থানীয় মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হয় । পথিমধ্যে অভিযুক্তরা শিশুটির পথ আটকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে ।
এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেওয়ায় শিশুটির ডান হাতের একটি আঙুল বিচ্ছিন্ন এবং বাম হাতের কবজির হাড় ও রগ কেটে যায় । এ সময় শিশুটির ডাক চিৎকারে তার বাবা মজিবুর রহমান এগিয়ে গেলে তাঁর পিঠে এবং মাথায় কুপিয়ে জখম করা হয় । পরে স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাবা- ছেলেকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে ।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, বাবার সঙ্গে দ্বদ্বে শিশু সন্তানের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে । মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে । বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে ।