1. mdsabbirzamader7@gmail.com : admin :
পুলিশ হেফাজতে থেকেও সাংবাদিকের ওপর সাজাপ্রাপ্ত আসামির হামলা - Dainik Sotter Kontho- দৈনিক সত্যের কণ্ঠ

পুলিশ হেফাজতে থেকেও সাংবাদিকের ওপর সাজাপ্রাপ্ত আসামির হামলা

মোঃ সাব্বির জমাদ্দার, স্টাফ রিপোর্টার
    Update Time : Thursday, November 21, 2024
  • 28 Time View
নড়াইলে আদালতের সামনে আসামিদের ভিডিও করায় পুলিশ হেফাজতে থেকেও সময় টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি সজিব রহমানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
ছবিঃ সংগৃহীত

নড়াইলে আদালতের সামনে আসামিদের ভিডিও করায় পুলিশ হেফাজতে থেকেও সময় টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি সজিব রহমানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।

 

বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

 

ভুক্তভোগী সাংবাদিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২০১৫ সালে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নের কালাচাঁদপুর গ্রামে শিশু শাহীন হত্যার ঘটনায় পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত। বুধবার বিকেল চারটার দিকে আদালত থেকে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শিমুল মল্লিক ও তার মা শামীমা বেগম এবং একই গ্রামের সৈয়দ লিটন, জাহিদুর রহমান মিঠু ও সৈয়দ জাহাঙ্গীরকে প্রিজনভ্যানে তুলছিল পুলিশ। এ সময় ভিডিও করতে গেলে সাংবাদিক সজিবকে আসামি ও তার স্বজনরা প্রথমে গালিগালাজ করেন এবং হেলমেট হাতে এক স্বজন তেড়ে আসেন মারতে। পুলিশ হেফাজতে থেকেও আসামি লিটন সাংবাদিক সজিবকে লাথি মারেন। পরে আসামির স্বজনরা সজিবকে মারধর করেন।

 

এ বিষয়ে চ্যানেল ২৪, কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম তুহিন বলেন, আদালত রায় দিয়েছেন। আমরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করবো এটাই স্বাভাবিক। রাযের পর ক্ষিপ্ত হয়ে হাতকড়া পরিহিত অবস্থায় আসামি সাংবাদিকের ওপর হামলা করবে এটা পুলিশের উদাসীনতা ছাড়া কিছু নয়। দায়িত্ব পালনকালে আসামির স্বজনরা হামলা চালাবে! দেশে সব ঘটনাকে কেন্দ্র করে বারবার সাংবাদিক কেন লাঞ্ছিত হবে? দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে আদালত এলাকায় সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নেই। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা আইনগত প্রক্রিয়ায় আগাবো।

 

এ ব্যাপারে নড়াইল আদালত পুলিশের পরিদর্শক সরেস চন্দ্র বলেন, প্রথম থেকে উগ্র আচরণ করছিল আসামিরা। তারা সাংবাদিকদের গালিগালাজ করেছে। তবে আসামি সাংবাদিককে লাথি মারেনি। আর আসামিদের আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে কেউ একজন হেলমেট দিয়ে হয়তো এক সাংবাদিককে মারতে যায়। আসামিরা পুলিশের হেফাজতে ছিল, তাদের পক্ষে মারার কোনো সুযোগ নেই। স্বজনরা কোনো কিছু করে থাকলে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিবে কিনা, সেটা সেই সাংবাদিকের বিষয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © দৈনিক সত্যের কণ্ঠ- ২০২৫