জয়পুরহাটের মাজেদ (৫০) মিয়া, পেশায় গরু ব্যবসায়ী। গত শনিবার (৫ আগস্ট) সকালে বাড়ি থেকে ৬টি গরু নিয়ে জয়পুরহাটে ব্যবসায়ী পার্টনার সুফিয়ানের সাথে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে বের হয়। তবে গরু বিক্রি করে পার্টনার সুফিয়ান বাড়িতে ফেরত আসলেও বাড়ি ফেরেনি মাজেদ। এবং মাজেদের মোবাইল ফোন কল করলে বন্ধ পাওয়া যায়।
স্ত্রী খাদিজা বেগম তার স্বামী মাজেদের বাড়ি ফেরার কথা সুফিয়ানের কাছে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “দু’একদিন পর বাড়িতে ফেরত আসবে।” মাজেদ কোথায় গেছেন? জিজ্ঞেস করলে তালবাহানা কথা বলেন সুফিয়ান। তখন থেকে ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও আজও বাড়ি ফেরেনি মাজেদ। এ বিষয়ে মাজেদের স্ত্রী খাদিজা জয়পুরহাট সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মাজেদ জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় মালিদহ গ্রামের ভোলাই বিশ্বাসের ছেলে।
নিখোঁজের ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও মাজেদকে না পাওয়ায় তার স্ত্রী খাদিজা আজ শুক্রবার (১১ আগস্ট) সকাল ১১ টায় তার নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলন করেন।
তিনি তার লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান। তিনি বলেন, প্রায় গত দুই বছর হলো প্রতিবেশী আশরাফ আলীর ছেলে মোঃ আবু সুফিয়ান (৩৮) এর সাথে পার্টনারশিপে মিলেমিশে গরু কেনা বেচার ব্যবসা করেন আমার স্বামী। ঘটনার দিন ৫ই আগস্ট শনিবার সকালে বাড়ি থেকে ৬টি গরু নিয়ে জয়পুরহাটে ব্যবসায়ী পার্টনার সুফিয়ানের সাথে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে যায়, তবে গরু বিক্রি করে পার্টনার সুফিয়ান বাড়িতে ফেরত আসলেও বাড়ি ফেরেনি মাজেদ। এবং মাজেদের মোবাইল ফোন কল করলে বন্ধ পাওয়া যায়। তিনি কোথায় গেছেন জিজ্ঞেস করিলে তালবাহানা কথা বলেন।
খাদিজা বেগম আরও অভিযোগ করে বলেন, সুফিয়ান আমার স্বামীর কাছে গরু বিক্রি করা থাকা প্রায় ১০/১২ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার লক্ষ্যে আমার স্বামী কে বিভিন্ন প্রকারের ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাকে গোপনে গুম করে রাখতে পারেন বলে আশঙ্কা করেন। এছাড়াও ব্যবসার প্রায় সব টাকাই আমার আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে ধার করে নিয়ে আমার স্বামী পার্টনারশিপে ব্যবসা করেন।
খাদিজা তাহার স্বামীর খোঁজ পেতে প্রশাসন ও সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।
তবে এ বিষয়ে আবু সুফিয়ানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তাহার বাড়িতে গেলেও তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জয়পুরহাট সদর থানার ওসি তদন্ত গোলাম সরোয়ার জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ হয়েছে থানায় তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।