Dainik Sotter Kontho - দৈনিক সত্যের কণ্ঠ
ঢাকাSaturday , 9 September 2023
  • অন্যান্য

৫০ বছর ধরে মানুষ ঝুঁকি নিয়ে জনগুরুত্বপূর্ন বাঁশের সাঁকো  দিয়ে চলাচল, মানুষের ভোগান্তি চরমে

বাগেরহাট প্রতিনিধি
September 9, 2023 2:32 pm । ২৩৬ জন

Google News

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে৫০ বছর ধরে একটি গ্রামের হাজারো মানুষ ঝুঁকি নিয়ে জনগুরুত্বপূর্ন বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে। বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছে বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীরা। এলাকাবাসির একটি পুলের দাবি থাকলেও দীর্ঘ বছরে তা পূরন হয়নি।

উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নের বড়পরী গ্রামের দু’প্রান্তে ৩ হাজার মানুষের বসবাস। গ্রামের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত “বড় খাল” নামে পরিচিত এ খালের দুই প্রান্তে সংযোগ এ বাঁশের সাঁকোটি। খালের দু’প্রান্তের মানুষের ৫০বছর ধরে যোগাযোগের ভরসা সুপারী গাছ ও বাঁশের এ সাঁকো। সাঁকোটি সম্প্রতি বালু ভর্তি জাহাজের ধাক্কায় মাঝ থেকে ভেঙ্গে গিয়ে ওই গ্রামের শিক্ষার্থীসহ মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সাঁকোটি ভেঙ্গে যাওয়ায় গ্রামবাসীদের এখন যোগাযোগ নৌকা , খাল সাঁতার অথবা ৪-৫ কিলোমিটার ঘুরে পল্লীমঙ্গল বাজার সংলগ্ন ব্রীজ কিংবা চেয়ারম্যান বাজার ব্রীজ দিয়ে পায়ে হেটে চলাচল করা।

জনগুরুত্বপূর্ন এ সাঁকোটি পেরিয়ে প্রতিদিন ছোটপরী, বড়পরী, সন্ন্যাসী, আমতলী, কেয়ারবাজার, আমতলী, বানিয়াখালী ও সিমান্তবর্তী শরণখোলা উপজেলার ধানসাগর গ্রামের লোকজন চলাচল করে। তাদের একমাত্র ভরসা এ সাঁকোটি । সাঁকোটির দু’পাশেই রয়েছে ৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪টি মসজিদ, ২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২টি মাদ্রাসা, পল্লীমঙ্গল বাজার, পথেরবাজার, চেয়ারম্যান বাজার ও বানিয়াখালী বাজারসহ যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ন স্থান।

স্থানীয় বাসিন্দা কৃষক আব্দুল বাকি হাওলাদার, আব্দুল হাই ঘরামী, ফাতেমা বেগম, নূরুল হক হাওলাদার, ফজল ঘরামীসহ একাধিকরা ক্ষোভের সাথে  বলেন, যুগ যুগ ধরে সরকারি বরাদ্দ না পেয়ে নিজেদের অর্থায়নে সুপারী গাছ, বাঁশ কিনে প্রতিবছর মেরাতম করা হয় সাঁকো। নির্বাচন আসলেই নানামুখী প্রতিশ্রুতি। জনপ্রতিনিধি পরিবর্তন হয়েছে একাধিকবার কিন্তু সাঁকোর পরিবর্তন হয়নি। মাঠের ধান ফসল ঘরে তুলতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ছিলো একটি সাঁকো তাও ভেঙ্গে দিয়েছে বালু ব্যবসায়ীরা।

ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার মো. সাইদুর রহমান বলেন, ১০ বছর পূর্বে ওখানে কাঠের পুল ছিলো। পুলটি ভেঙ্গে যাওয়ার পরে সাঁকো তৈরি করে গ্রামবাসীদের চলাচল। তিনি নিজেও আর্থিক সহযোগিতা করেছেন। ইতোমধ্যে নতুন পুলের জন্য আবেদন করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম তারেক সুলতান  বলেন, বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।