Dainik Sotter Kontho - দৈনিক সত্যের কণ্ঠ
ঢাকাMonday , 12 June 2023
  • অন্যান্য

সাপাহারে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ২০ হাজার পশু

Google News

মুসলিম উম্মাহর পশু জবেহ করে ত্যাগের মধ্যে দিয়ে পালিত পবিত্র ঈদুল আযহা । যা কোরবানির ঈদ নামে পরিচিত মুসলিম উম্মাহর মাঝে । পবিত্র ঈদুল আযহার আরো বেশ কিছুদিন বাঁকি রয়েছে । ঈদকে সামনে রেখে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা কিনছেন কোরবানির পশু । এরই ধারাবাহিকতায় সীমান্তঘেঁষা এলাকা নওগাঁর সাপাহারেও কোরবানির প্রস্তুতির ঘাটতি নেই মুসলিমদের মধ্যে । সাধ্যানুযায়ী কোরবানি কিনছেন এলাকার লোকজন । এবারে কোরবানির জন্য এই উপজেলায় প্রায় ২০ হাজার পশু প্রস্তুত রয়েছে ।

চলতি বছরে এই উপজেলায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে প্রায় ২০ হাজার পশু । যা এই উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে বাইরের উপজেলাতেও বিক্রি করা যেতে পারে বলে জানা গেছে । এদিকে আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে গবাদি পশু পালনে ব্যস্ত সময় পার করছেন এলাকার খামারিরা তারা অতি যত্নে খামারে কোরবানির গবাদি পশু প্রস্তুত করে তুলছেন অধিক মুনাফার আশায় ।
উপজেলার একাধিক খামারি জানান, আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে কোরবানির পশু পালনকারী বড়- ছোট সব খামারি এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন । প্রত্যেক খামারি তাদের প্রিয় পশুটি সর্বোচ্চ দামে বিক্রি করতে শেষ বেলায় পশুর পরিচর্যায় বস্ত সময় কাটাচ্ছেন ।
উপজেলার ছাগল খামারি স্বপন বলেন, আমার বাড়ীতে দেশীয় জাতের ছাগল পালন করে আসছি । এবারে কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ৬টি খাসি ও ৯টি ছাগল প্রস্তুত আছে । আমি এখনো বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যাইনি । তবে প্রতিদিন ছাগলগুলোর পরিচর্যা করছি । আশা করি ভালো মুনাফা পাবো ।

সাপাহার উপজেলা জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, এ বছরে কোরবানিযোগ্য মোট পশুর সংখ্যা ১৭ হাজার ২শ ’ ৪২ টি । তার মধ্যে ষাঁড় ২ হাজার ৬শ ’ ২৩টি, বলদ ১ হাজার ৯শ ’ ৭১টি, গাভী ৪ হাজার ৩শ ’ ২১টি, ছাগল ৭ হাজার ২শ ’ ৬৭ টি, ভেড়া ১ হাজার ৬০টি । এছাড়াও কিছু পশু বাইরের উপজেলায় বিক্রি হবে এবং বাইরের উপজেলার কিছু পশু এই উপজেলায় বিক্রি হবে । এ নিয়ে প্রায় ২০ হাজার পশু লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে ।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোলাম রাব্বানী জানান, প্রাকৃতিকভাবে গবাদি পশু মোটাতাজাকরণের জন্য খামারিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে । পশু মোটাতাজা করণের জন্য প্রত্যেক খামারিকে বিশেষ ভাবে ঘাস চাষের জন্য বিশেষ ভাবে বলা হয়েছে । কোরবানির পশুর প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য উপজেলার প্রতিটি হাটে প্রাথমিক পশু চিকিৎসক প্রদান করা হয়েছে । তিনি আরও বলেন, প্রাণি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার না করার জন্য খামারিদের সচেতন করা হয়েছে এবং হচ্ছে । এছাড়াও খামারীদের গবাদীপশু দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর জন্য প্রাণি সম্পদ বিভাগ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে ।