বাংলাদেশের শিক্ষা বাবস্থায় কিছু বিতর্কিত বিষয় থাকা ইস্যুতে জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক আবু ত্বহা মোহাম্মদ আদনান বলেছেন ” আমাকে ৫ বছর সময় দেন, পুর দেশের শিক্ষা সিস্টেম চেঞ্জ করে দিব। একাই করে দিতে পারব।
তিনি প্রধানমন্ত্রী কে ইঙ্গিত করে বলেছেন, ” যাদের কে শিক্ষা মন্ত্রলায়ে রেখেছেন তাদের মাথাই গোবর আছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধম গুলোতে ব্যাপক ভাবে ভাইরাল হয়েছে তার এই বক্তব্য ।
আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান কে ?
ফেসবুক, ইউটিউবসহ নেট দুনিয়ায় ইসলাম প্রচার করার মাধ্যমেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন আবু ত্ব-হা আদনান।
তার নাম, মো. আফছানুল আদনান কিন্তু সবার কাছে তিনি আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান নামেই সবার কাছে পরিচিত। ৩১ বছর বয়সী এই তরুণ বক্তার বাড়ি রাজশাহী হলেও তিনি রংপুর জেলায় নানা বাড়িতে বড় হয়েছেন। ২০১৮ সালে আলোকিত জ্ঞানী প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার আর্প হয়েছিলেন তিনি।
ইসলামি বক্তা ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডের আহলে হাদিস মসজিদ এলাকার বাসিন্দা। তবে তিনি প্রথম স্ত্রী হাবিবা নূর, দেড় মাসের ছেলে ও তিন বছরের মেয়েকে নিয়ে শালবন মিস্ত্রীপাড়া চেয়ারম্যান গলিতে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
ত্ব-হা আদনান নগরীর সুরভী উদ্যানের বিপরীতে প্রজন্ম নামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। সেটির প্রধান সে। সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কুরআন শিক্ষা দেয়া হতো ওই স্কুলে। করোনার কারণে স্কুলটি দেড় বছর ধরে বন্ধ।
এই ইসলামি বক্তা রংপুরের বিদ্যাপীঠ খ্যাত কারমাইকেল কলেজ থেকে দর্শন বিভাগ থেকে অনার্স, মার্স্টাস শেষ করেছেন। পাশাপাশি রংপুরের জামিয়া সালাফিয়া মাদ্রাসার ১০-১২ জন ওস্তাদের কাছ থেকে অ্যারোবিক গ্রামারসহ দ্বীনি বিষয়ে তালিম নিয়েছেন। তার পরে নিজেই ইসলামিক বইগুলো খুটিয়ে পড়ে জ্ঞান অর্জন করেছেন।
আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান উঠতি একজন ইসলামি আলোচক, যিনি সুস্পষ্ট কথা বলার ভংগিমার কারণে তরুণদের মধ্যে দ্রুতগতিতে জনপ্রিয় হন। তার ধর্মীয় আলোচনার পক্ষে-বিপক্ষে আলাচনা এবং সমালোচনা দুটোই হতো।
আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান রংপুর লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি, রংপুর সরকারি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি পাস করেন। দর্শন বিষয়ে অনার্স মাস্টার্স পড়েন রংপুর কারমাইকেল কলেজে। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি আহলে হাদিস সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ইসলামী বই প্রচুর পড়তেন। নিজের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউবে ধর্মীয় আলোচনা করতেন। বিভিন্ন মসজিদে নামাজও পড়াতেন তিনি।
সম্প্রতি ইউটিউবে প্রকাশিত তার বক্তব্যে ঢাকা শহরকে ‘কেয়ামতের শহর’ হিসাবে উল্লেখ করেন।
নারীর ক্ষমতায়নের বিরুদ্ধেও কথা বলেছেন তিনি। দাবি করেছেন, ‘যে নারী পুরুষের সঙ্গে পাবলিক বাসে উঠে অফিসে যায়, যে নারী সহকর্মী পুরুষের সঙ্গে কথা বলেন তারা দাজ্জালের বাহিনীর সদস্য। ইমাম মাহাদীর বিরুদ্ধে এই নারীরাই যুদ্ধ করবে।’
ইসলাম ধর্মমতে দুনিয়া ধ্বংস তথা কিয়ামতের আগে মুসলিমদের সঙ্গে দাজ্জালের বাহিনীর লড়াই হবে। আর মুসলিমদের নেতৃত্ব দেবেন ইমাম মাহাদী। ইমাম মাহাদী পৃথিবীতে কবে আসবেন, এ নিয়ে অবশ্য ইসলামিক বক্তাদের মধ্যে বিরোধ আছে।
ত্ব-হার বলেন, পরকালে দোজখে নারীদের সংখ্যা বেশি হবে। আর এর জন্য তার ভাষায় ‘নারীর উদ্ধত’ আচরণ দায়ী।