চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলায় পাগলা কুকুরের কামড়ে বেশ ক’জন মানুষ আহত হয়েছে । কুকুরটি বেশ ক’টি গবাদি পশুকেও কামড় বসিয়েছে ।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ১৫নং ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের উত্তর ও মধ্যম ওয়াহেদপুর এলাকার ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডে । ৬ জুলাই, ২০২৩ খৃ. ভোর থেকেই কুকুরটি ঐ এলাকার ১৫ থেকে ২০ জন বাসিন্দাকে একের পর একটা কামড়ে আহত করে ।
কুকুরটির কামড়ে যারা আহত হয়েছেন- ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের মধ্যম ও উত্তর ওয়াহেদপুর গ্রামের ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান রনি, রবিউল হোসেন, আব্দুল মান্নান, আব্দুর রহিম, রফিকুল ইসলাম রফিক, মোহাম্মদ মিয়া, ফকির আহম্মদ, হালিমা বেগম, ফাতেমা বেগম এবং নাম পরিচয় জানা যায়নি এমন কয়েকজন । এছাড়া গবাদিপশুর মধ্যে মিয়া ও নিজামের দুটি গরু, তাহমিনার ছাগলকে কামড় দেয় পাগলা কুকুরটি ।
পরে স্থানীয়রা সংঘবদ্ধ হয়ে পাগলা কুকুরটিকে মেরে মাটিতে পুঁতে ফেলে ।
কুকুরের কামড়ে আহত কৃষক রবিউল হোসেন জানান- ভোরে তিনি ক্ষেত থেকে সবজি তুলে বাড়ির বারান্দায় গুছিয়ে নেওয়ার সময় হঠাৎ কিছু বোঝার আগেই কুকুরটা তার উপর আক্রমণ করে, তার বাম হাতে কামড় বসিয়ে দৌড়ে চলে যায় ।
ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন- বেওয়ারিশ এই কুকুরটি যে পাগল হয়ে গেছে সে বিষয়ে এলাকাবাসী অবগত না থাকায় তার অতর্কিত আক্রমণের শিকার হতে হয়েছে ফজরের নামাজ পড়তে যাওয়া অবস্থায় মুসল্লী, ক্ষেতের কৃষক, পথচারী, নারী । এমনকি গৃহপালিত পশুও তার আক্রমণ থেকে রেহাই পায় নি । আহতদের প্রথমে মস্তাননগর সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পরবর্তীতে ফৌজদারহাট সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে ।
ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা মো মামুনুর রশিদ( মেডিসিন) জানান- পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে বেশ ক’জন হাসপাতালে আসে । তাদের প্রত্যেককে প্রতিষেধক দেয়া হয়েছে । এর মধ্যে ছয়জনের অবস্থা খারাপ হওয়ায় তারা ভর্তি আছেন ।