চিরিরবন্দরে দিনকে দিন বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা। ৩০ দিনে অনন্ত এই উপজেলায় প্রায় ৫ থেকে ৮ টি আত্মহত্যা সংঘটিত হচ্ছে। যার বেশীভাগে পারিবারিক কলহ, প্রেম, পরকিয়ার সর্ম্পক,হতাশা, অকৃর্তকার্যসসহ নানা কারন যা প্রতিনিয়ত এই এলাকার মানুষকে আত্মগাতী করে তুলছে। কিন্তু মানসিক স্বাস্থ্যও যে শারীরিক স্বাস্থ্যের মতোই গুরুত্বপূর্ণ, তা বুঝতে নারাজ এই এলাকার সিংহভাগ মানুষই। এছাড়া পারিবারিক কলহের কারনে ডিপ্রেশনের চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছে আত্মঘাতী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন অনেকেই।
হতাশা, বিষণ্নতা, দুশ্চিন্তা একধরনের মানসিক ব্যাধি। এই ব্যাধিগুলোর ভয়াবহতা এতোটাই বেশি যে এগুলো মানুষকে অযোগ্য, ব্যর্থ অনুভব করিয়ে আত্মহত্যার পথে ঠেলে দেয়। কিন্তু আমাদের দেশে যেখানে বেশিরভাগ মানুষ নিম্ন আয়ের, তাদের কাছে মানসিক ব্যাধি নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় কোথায়! তবুও বিষয়টিকে উপেক্ষা করা যায় না। কারণ পারিবারিক কলহে দিনকে দিন মানসিক রোগে আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি বেড়ে চলেছে মানুষের মাঝে আত্মহত্যার প্রবণতা। আসুন আমরা সবাই পাববারিক সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সকল কলহের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করে তুলি। কাউন্সিলিং করি। সচেতনা বৃদ্ধির মাধ্যম মানসিক চাপ হ্রাস করি। নীরব করে না থেকে নারীদের পারিবারিক কলহে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রতিবাদী করে তুলি।