Dainik Sotter Kontho - দৈনিক সত্যের কণ্ঠ
ঢাকাWednesday , 30 August 2023
  • অন্যান্য

পার্বতীপুর বড়পুকুরিয়ার ১১১৩ কোল ফেজের কয়লা শেষ, উত্তোলন বন্ধ

Google News

দিনাজপুর পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া খনি থেকে ১১১৩ কোল ফেজের কয়লা শেষ হওয়ায় কয়লা উত্তোলন বন্ধ।

বুধবার (৩০ আগস্ট) খনির ভূগর্ভের ১১১৩ কোল ফেজের (কয়লা উত্তোলন বা নির্গমন মুখ) মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন ফেজে যন্ত্রপাতি স্থানান্তরের জন্য আগামী ২ মাস এ খনি থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ থাকবে।

খনি সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নতুন ফেজে যন্ত্রপাতি স্থানান্তর ও চালু করতে প্রায় ২ মাস সময় লাগতে পারে। যন্ত্রপাতি স্থানান্তর শেষে নতুন ফেজের উৎপাদন আগামী অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে শুরু হতে পারে। খনি কর্তৃপক্ষ ধারণা করছেন, নতুন ফেজ থেকে প্রায় ২ লাখ ১০ হাজার মেট্রিকটন কয়লা পাওয়া যাবে।

চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১১১৩ ফেজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। ওই ফেজ থেকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিকটন কয়লা উত্তোলন করা হয়। উত্তোলিত কয়লা বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহ করা হয়েছে। তবে ফেজটির মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন ফেজে যন্ত্রপাতি স্থানান্তরের জন্য কয়লা উত্তোলন বন্ধ।

তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আবু বকর সিদ্দিক জানান, বর্তমানে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৩ নম্বর ইউনিটটি চালু আছে। যা থেকে প্রতিদিন গড়ে ১৮০ থেকে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়ে জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে। ইউনিট চালু রাখতে প্রতিদিন ২ হাজার মেট্রিকটন কয়লা প্রয়োজন হয়।
তিনি আরো জানান, বর্তমানে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি ইয়ার্ড ও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইয়ার্ডে ১ লাখ ১০ হাজার মেট্রিকটন কয়লা মজুত রয়েছে। যা দিয়ে প্রায় ২ মাস তাপবিদ্যুৎতের এ ইউনিটটি সচল রাখা সম্ভব। তবে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে তিনটি ইউনিট চালু রাখতে গেলে প্রতিদিন ৪ হাজার ৮০০ মেট্রিকটন থেকে ৫ হাজার মেট্রিকটন কয়লার প্রয়োজন।