কিশোরগঞ্জে পরিবেশ অধিদপ্তরের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঐতিহ্যবাহী লুতুর পুকুর ভরাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৮ ডিসেম্বরে বাদী ও বিবাদীর উপস্থিতিতে শুনানির মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর জানান, যতদিন পর্যন্ত শুনানি নিষ্পত্তি না হবে ততদিন পর্যন্ত পুকুরটিতে মাটি দিয়ে বা দেয়াল দেওয়া যাবে না ৷ তবে পুকুরটি পরিস্কার করে আগের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে এক মাস সময় দেওয়া হয়৷
কিন্তু ১ মাস অতিক্রম হওয়ার পরও পুকুরটি পরিস্কার করা হয়নি বরং রাতে অন্ধকারে মাটি দিয়ে পুকুর ভরাট করে সংকুচিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে ৷
সরজমিনে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
এই বিষয়টি অনেকবার এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অভিযোগকারী কিশোরগঞ্জ জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরে জানানোর পরও থামানো যাচ্ছে না পুকুর ভরাট কাজ ৷
এলাকাবাসীরা জানান, লুতুর পুকুরটি অনেক পুরাতন প্রায় ৭০ বছযের উপরে ৷ ২০১৯ সালের সময় পুকুরটির মালিক রওশনারা বেগমের ওয়ারিশগণ পুকুরের আংশিক অংশ (যার দাগ নং৯১৫৪,৯১৫৫,খতিয়ান নং, ৪৯৫৩) থেকে বিক্রয় করেন এলাকার জহীরুল ইসলাম জহীরগংয়ের কাছে ৷ জহীরগং ৯১৫৪ ও ৯১৫৫ পুকুর আছে তথ্যটি গোপন করে উক্ত পুকুরটির আংশিক অংশে ৫তলা বিন্ডিং করার অনুমোদন নিয়ে আসেন৷
এই বিষয়ে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলেও কোন কাজ হয়নি ৷ জানা যায় পুকুরটি মূলত দুই দাগে রয়েছে দাগনং ২৩৬৪০ আছে ১৫ শতাংশের উপরে,৯১৫৫দাগে আছে ১০ শতাংশ ৷বাকি দাগে আছে পাড়ের অংশ৷তাহলে পুকুর আছে প্রায় ২৬ শতাংশের উপরে ,কিন্তু দুঃখের বিষয় বর্তমান পুকুরে ১৩শতাংশ পাওয়া যাচ্ছে না ৷
পুকুর ভরাট বিষয়ে ৭নং ওয়ার্ডের কমিশনার মোঃ সাইফুল ইসলামকে বলা হলে তিনি দেখবেন বলে জানান ৷
যেখানে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৫৫সালের ধারা ৮ এর উপধারা(১)বলা আছে কোন পুকুর ভরাট করে কোন স্থাপনা করা যাবে না ৷সেখানে কিভাবে ৭০ বছরের পুরাতন লুতুর পুকুরটির আংশিক অংশ ভরাট করে পাঁচতলা ভবন নির্মান করা হলো কিশোরগঞ্জ সদর ৭নং ওয়ার্ডের পশ্চিম তারাপাশার জহিরুল ইসলাম জহিরগং৷এখন আবার জানা যায় পুকুরের বাকি অংশ ভরাট করার কাজ চলছে ৷
এই বিষয়ে পুকুর রক্ষা করার ক্ষেত্রে বাদী স্কুল শিক্ষককের সাথে কথা বললে তিনি জানান আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি পরিবেশ অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়ে ৷এখন কিভাবে পুকুর দখলদার জহিরগং সরকারী আইনকে বৃদ্ধা আঙুল দেখিয়ে পুনরাই পুকুর ভরাট করছে তা আমার মাথায় কাজ করছে না৷
তিনি আরও বলেন, আমি একটি কথাই বলব জোর যার মুল্লুক তার ,মূলত জহিরগং টাকা দিয়ে সকল অবৈধ কাজকে বৈধ বানিয়ে ফেলছে তাহলে আজ ৩০-১-২৪ ইং তারিখে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর ,৯৯৯ ফোন,কিশোরগঞ্জ সদর থানায় বিষয়টি জানানো পরও পুকুরটি রক্ষা করার ক্ষেত্রে কোন সহযোগিতা পাননি ৷এভাবে একজন নিরীহ পরিবেশবাদী স্কুল শিক্ষক তার আক্ষেপ তুলে ধরেন ৷
এই বিষয়ে পরিবেশবাদী নেতা প্রভাষক জুয়েল স্যার,ও পরিবেশবাদি কর্মী তানভীর সাহেবের সাথে কথা বললে তারা বলেল, পরিবেশ রক্ষা করার জন্য পুকুর বাঁচিয়ে রাখতে হবে ৷আমরা আশাবাদী আমাদের আন্দোলনের মাধ্যমেই ঐতিহ্যবাহী পশ্চিম তারাপাশার ৭নং ওয়ার্ডের লুতুর পুকুরটি উদ্ধার হবে ৷যত বড়ই শক্তিশালীই হোক বর্তমান সরকার আমনে কোনভাবেই পুকুর দখলকারীদের বাংলার মাটিতে ঠাই নেই বলে মন্তব্য করেন কিশোরগঞ্জ জেলা পরিবেশবাদী আন্দোলন নেতা প্রভাষক জুয়েল ৷