ভোলার লালমোহন উপজেলায় ডাকাতির ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় মোঃ সোহেল রানা (২৮) নামে ১ ডাকাত কে আটক করেছে থানা পুলিশ। রবিবার ২৩ জুলাই অভিযান চালিয়ে তাকে কে আটক করা হয়। আটককৃত সোহেল রানা হলেন চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানার আহমদপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ফরিদাবাদ গ্রামের মোঃ মাসুদ মালের ছেলে।
দুলার হাট থানা সুত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত সোহেল রানার বিরুদ্ধে শশিভুষন থানা,দুলারহাট থানা এবং লালমোহন থানায় একাদিক ডাকাতি ও মাদক মামলা রয়েছে। লালমোহন থানায় গ্রেফতার হওয়া মামলা নং 21।
এদিকে আসামি উক্ত সোহেল রানা আটক হবার খবরে এলাকায় সাধারন মানুষের মধ্যে খুশির বন্যা বইছে।
উক্ত এলাকাবাসী সাংবাদিকদের বলেন সোহেল রানা ও তার স্ত্রী সুমি বেগম (২৩) দেশের বিভিন্ন জেলাঃ- থেকে মাদক এনে তা বিক্রি করে এলাকার যুবসমাজ কে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, আমরা প্রতিবাদ করলে আমাদের হুমকি ধমকি সহ বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে থাকে। পুলিশ জনগণের বন্ধু সেই পুলিশকেই মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ফাঁসিয়েছে সে ও তার স্ত্রী সুমি বেগম। তারা আরো বলেন সম্প্রতি দুলার হাট থানা সেকেন্ড অফিসার এস আই নজরুল ইসলাম এর বিরুদ্বে ৫০হাজার টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ আনেন, যা স্বনামধন্য একটি অনলাইন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে, এতে সেই পুলিশ কর্মকর্তা বর্তমানে ক্লোজড হয়েছেন। যেখানে পুলিশ কেই তারা হয়রানি করছে সেখানে আমরা সাধারণ এলাকাবাসী ত কিছুই না, আমরা এই মাদক ব্যবসায়ী স্বামী স্ত্রীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এ বিষয় দুলার হাট থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ারুল হক বলেন লালমোহন থানায় ডাকাতির মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামি সোহেল রানা এলাকায় চিহ্নিত চোর ও মাদক ব্যবসায়ী, তার বিরুদ্বে, দুইটি মামলার ওয়ারেন্ট আছে,শ্যোন এরেস্ট দেখিয়ে ওয়ারেন্ট দুটো কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।
এস আই নজরুল এর ৫০ হাজার টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগটি মিথ্যা।
ঘুষ চাওয়ার বিষয় জানতে এস আই নজরুল কে মুঠোফোনে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ঘুষ চাওয়ার বিষয়টা বানোয়াট, ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী গ্রেফতার করার জন্য এটি একটি কৌশলের অংশ অন্য কিছু নয়,দুলার থানা সহ ভোলার একাদিক থানায় তার বিরুদ্বে মাদক ও ডাকাতির মামলা আছে।
লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, গত ২৩ জুলাই রবিবার মোঃ সোহেল রানা নামে একজনকে ডাকাতির মামলায় আটক করে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে, শুনেছি তার বিরুদ্বে নাকি অন্যান্য থানা একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।
চরফ্যাশন সার্কেল এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মাসুম বিল্লাহ বলেন পুলিশ ও জনগণে সবাই আমার কাছে সমান অপরাধ করে কেউ পার পাবে না,এস আই নজরুলের ঘুষ চাওয়ার বিষয়টা আমার জানা নেই, এমন কিছু হয়ে থাকলে তদন্ত পূর্ব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।