কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ৩৩০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে । চারদিন আগেও বাজারে খুচরা হিসেবে প্রতিকেজি ২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে ।
এ ছাড়াও বেশ কিছুদিন ধরে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি । ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজিই মিলছে না বাজারে । গতকাল মঙ্গলবার( ২৭জুন) উপজেলার কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে । দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্নআয়ের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে ।
সরেজমিন উপজেলার সদর বাজারের সবজি ব্যবসায়ী পিতা মুখলেছুর রহমান ও ছেলে হুমায়ুন কবির বলেন, চারদিন আগে শুক্রবার বাজারে কাঁচা মরিচ প্রতিকেজি ২০০- ১৮০ টাকা দরে বিক্রি করেছি । কিন্তু হঠাৎ পাইকারী বাজারে দ্বিগুণ দামে ক্রয় করতে হয়েছে । বাধ্য হয়ে এখন বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে । আরেক সবজি ব্যবসায়ী মুতাসিবিল্লাহ বলেন, বেশ কিছু দিন থেকে বৃষ্টি না হওয়া ও প্রচণ্ড রোদে ক্ষেতে মরিচ নষ্ট হচ্ছে । এতে সরবরাহ অনেকটাই কমে গেছে । তাই দাম বৃদ্ধি পেয়েছে । ক্রেতারা বলছেন, বাজারে একটি পণ্যের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হতে এখন আর বেশি সময়ের প্রয়োজন হয় না । মাত্র তিন- চার দিন আগেও আমরা কাঁচা মরিচ কিনেছি ২০০ টাকায় । তারা আরো বলেন, এভাবে নীরবে বাজারে অনেক পণ্যের দাম হঠাৎ বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে । এটি নিয়ন্ত্রণে কেউ এগিয়ে আসছে না । ফলে আমাদের টিকে থাকা দিন দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে ।
উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে কাঁচা পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, বরবটি কেজি ৬০ টাকা, করলা কেজি ৮০ টাকা, শসা কেজি ৮০ টাকা, বেগুন কেজি ৬০ টাকা, ঢেঁড়স কেজি ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৩০, ঝিঙা কেজি ৭০ টাকা, পটোল কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধন্দুল কেজি ৫০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কচু প্রতি পিচ ৫০ টাকা, কাঁকরোল কেজি ৬০ টাকা, আলু প্রতি কেজি ৫০ টাকা, গাজর কেজি ১২০ টাকা, টমেটো কেজি ১৪০ টাকা, মুহি কেজি ৮০ টাকা, লতা কেজি ৬০ টাকা, মুলা কেজি ৪০ টাকা ।
বাজারে প্রতি কেজি গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা, ব্রয়লার প্রতি কেজি ১৫০ টাকা, সোনালি মুরগি কেজি ২৫০ টাকা । খুচরা বাজারে দেশী পেঁয়াজের তুলনায় ভারতের পেঁয়াজের দাম কম । ক্রেতারা এই পেঁয়াজ বেশি কিনছেন । দেশী পেঁয়াজ ৭০ টাকা এবং ভারতের পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে । দেশী রসুন ১৩০ টাকা এবং আমদানি করা রসুন কেজি ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে । সয়াবিন বোতলজাত প্রতি লিটার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে । ঈদ ঘিরে আদার দাম অস্থির । দেশী ও আমদানি করা কেরালা জাতের আদা কেজিতে দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩২০টাকা পর্যন্ত ।
সরকারি অফিস- আদালত বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা শারমিন এর সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি ।