Dainik Sotter Kontho - দৈনিক সত্যের কণ্ঠ
ঢাকাThursday , 4 January 2024
  • অন্যান্য

ঠাকুরগাঁওয়ে বয়লার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন নিহত

Google News

ঠাকুরগাঁওয়ে হাস্কিং মিলের বয়লার বিস্ফোরণে একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছে । এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার পল্লীবিদ্যুত এলাকার দাসপাড়া গ্রামে অবস্থিত সাইদুর রহমানের হাস্কিং মিলে ধান সেদ্ধ করছিল শ্রমিকরা। এ সময় হঠাৎ বিস্ফোরন হয় ব্রয়লারটি। পরে বিস্ফোরিত ব্রয়লারটি পাশের একটি মন্দিরের সামনে গিয়ে পরলে সেখানে রোদ পোহানো অবস্থায় মা দীপ্তি রানী (৪০) ও নয় বছরের মেয়ে পুজা দাস এবং (৮)বছর বয়সী পলক দাস ঘটনাস্থলে মারা যায়। গুরুতর আহত হয়ে আরোও দু জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন । এ ঘটনায় মিল মালিককেই দায় করছেন পরিবার ও স্থানিয়রা ।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে সাইদুরের রাইস মিলের শ্রমিকরা ধান সিদ্ধ করার জন্য বয়লারের স্টিম তুলেন। এক সময় শ্রমিকরা বয়লার বন্ধ রেখে অন্য কাজে গেলে অতিরিক্ত চাপে বয়লার বিস্ফোরণ হয়। এতে বয়লারের একটি বড় অংশ দীপ্তি রানী, তার মেয়ে পূজা ও পলকের ওপর গিয়ে পড়লে তারা ঘটনাস্থলেই মারা যান।

এঘটনায় তার পরিবার ও এলাকাবাসিরা আরোও অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার না হওয়া মিলটিতে ধান সেন্ধ করছিল শ্রমিকরা। এসময় বয়লারে ত্রুটি দেখা দেয়ায় কার্যক্রম বন্ধ রাখার কথা জানালেও মিল মালিক সাইদুর রহমান বাধ্য করেন ধান সেদ্ধ করতে। কিছুক্ষন পরেই এ দূর্ঘটনা ঘটে। যা অনাকাঙ্খিত জানিয়ে বিচারের দাবি করেন তারা।

ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গী মহাসড়ক সংলগ্ন পল্লী বিদ্যুৎ দাসপাড়া এলাকায় স্থানীয় ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান রাইস মিল চালু করার পূর্বেও স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়েন তিনি । এই রাইস মিলটি চালু না করার জন্য স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তবুও সকলের বাধা উপেক্ষা করেই মিল চালু করে সাইদুর। এ ঘটনার পর থেকে রাইস মিলের মালিক সাইদুর রহমান ও মিলের শ্রমিকদের কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ।

এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক (দিনাজপুর) আমিরুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পাই পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় হাস্কিং মিলের একটি বয়লার বিস্ফোরণ হয়েছে পরে আমরা এখানে আসি ঘটনাস্থান পরিদর্শন করি। মূলত এখানে বয়লারের ধান সিদ্ধ করার জন্য যে অতিরিক্ত ব্যাপার ব্যাপারটা বের হতে পারেনি এবং বয়লারের যে ভাল্ব ভাল্ব গুলো সম্ভবত বন্ধ ছিল বা অন্য কোন ত্রুটির কারণেই মূলত এই ঘটনা ঘটে।

 

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিঠুন সরকার বলেন, এটি নিঃসন্দেহে একটি দুঃখজনক ঘটনা। একটি বয়লার বিস্ফোরণের ফলে সেই বয়লারটি রাস্তার ওপার থেকে এপারে উরে এসে কয়েকজ মানুষের উপর পরে এতে একই পরিবারের ৩ জন মারা যায় এবং দু জন হাসপাতালে ভর্তি আছে। এ বিষয়ে মামলার রুজি প্রক্রিয়াধীন এবং এর সাথে যদি কেউ জড়িত থাকে তাহলে তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।