ঠাকুরগাঁওয়ে হাজতে থাকা আসামীদর জন্য “ হাজতি পাঠাগার ” উদ্বোধন করা হয় । বৃহস্পতিবার ফিতা কেটে পাঠাগারের উদ্বোধন করেন ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিত্যানন্দ সরকার ।
ঠাকুরগাঁও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসীর আয়োজনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিত্যানন্দ সরকার, বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস. রমেশ কুমার ডাগা, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো আলাউদ্দীন, চিটাগাং গ্রæপের চেয়ারম্যান ও ঠাকুরগাঁও চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি কাজী আহসান হাবিব আলমগীর, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড. মো আব্দুল হালিম, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মো জয়নাল আবেদীন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মোস্তাক আলম টুলু, জেলা কারাগারের জেলার খোন্দকার মো আল- মামুন প্রমুখ । এছাড়াও অনুষ্ঠানে কোট ইন্সপেক্টর মো আব্দুল ওয়াহেদসহ, আদালতের বিভিন্ন কর্মকর্তা- কর্মচারী, পুলিশের বিভিন্ন সদস্য, জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক ও হাজতিরা উপস্থিত ছিলেন ।
ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিত্যানন্দ সরকার বলেন, হাজতবাসকারী ব্যক্তিদের চিন্তা, চেতনাকে বিকশিত করার জন্য এ হাজতি পাঠাগার উদ্বোধন করা হয় । আমরা যদি বলি হাজতিরা কিন্তু আমাদের সমাজেরই একটি অংশ । তাদেরকে ঘৃনা বা অবহেলা করার কথা কিন্তু আমাদের আইন বলে না । সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র কাউকে বৈষম্য করতে পারে না । সবাই সমান । পাঠাগারে বিভিন্ন পরিকল্পনা করে বইগুলো সাজানো হয়েছে । এখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বিভিন্ন ধর্মীয়, বিভিন্ন আইন জানার জন্য বইসহ জীবনকে উজ্জল করার জন্য বিভিন্ন মনিষীদের লেখা বই দেওয়া রয়েছে । বই সম্পর্কে ভাল ভাল উক্তি তুলে ধরা হয়েছে, যাতে করে তারা বই পড়ার প্রতি আগ্রহী হয় । হাজতিরা যেন কখনও মনে না করে তারা অপরাধি । বই পড়ার মধ্য দিয়ে এই হাজতখানাকে একটি কারেকশন সেন্টারে পরিনত করতে চাই । যতক্ষণ পর্যন্ত আদালত কাউকে দোষী সাব্যস্ত না করে ততক্ষণ পর্যন্ত সে অপরাধী নয় । আমরা আশা করি হাজতবাসীগণ উদ্বুদ্ধ হবেন এবং আমাদের সমাজ ব্যবস্থা, সরকারের য ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, বিচার ব্যবস্থার সাথে সমাজ ব্যবস্থাকে কারেকশন করে একটা উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত হবে বলে মনে করছি ।