শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত অবিরাম বর্ষনে আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে মহারশি নদী প্লাবিত হয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে নদীর তীরবর্তী এলাকায় বসত বাড়ীগুলো পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পরেছে। পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানি উপজেলা সদর বাজার থেকে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় গরুহাটি সাবরেজিস্টার অফিস এলাকাসহ অনেক বাড়ি ঘরে পানি উঠেছে।
পাহাড়ি ঢলের পানিতে কৃষকের সদ্য রোপণকৃত আমন ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশংঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে দিঘিরপাড় ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসাটি নদীর তিরবর্তী হওয়ায় সহজেই পানি ঢুকে প্রতিষ্ঠানের ক্ষতিসহ শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের যাতায়াতে চরম দূর্ভোগে পরিনত হয়েছে। পাহাড়ি ঢলে শতশত একর জমির রুপা আমন পানিতে নিমজ্জিত হযে পড়েছে।
গতকাল শুক্রবার ও শনিবার সকাল থেকে অবিরাম বর্ষনে মহারশি, সোমেশ্বরী, কালঘোষা নদীর ঢলের পানিতে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। দীঘির পাড়, আহাম্মদনগর, চতল গ্রামের কয়েক শ, পরিবারের মানুষ পানিবন্দি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, ঢলের পানিতে রুপা আমনের শতশত একর আমন ক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়লেও। বন্যা পরিস্থিতি অবনতি না হলে ক্ষতির কোন সম্ভাবণা নেই।