কিশোরগঞ্জে আসামিদের বিশেষ তথ্যের ভিত্তিতে নরসুন্দা নদীতে ছাত্রলীগ নেতা মো. মোখলেছ উদ্দিন ভূঁইয়ার মরদেহ উদ্ধারে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরী দল।
গত সোমবার ( ২২ এপ্রিল) সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের মুক্তমঞ্চের আশপাশসহ ওয়াচ-টাওয়ারের পূর্ব পাশের ব্রিজের নিচে নরসুন্দায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। তবে এই পর্যন্ত তার মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, মোখলেছ উদ্দিন ছিলেন জেলার হাওর উপজেলা মিঠামইনের কেওয়ারজুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। তিনি ফুলপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে ছিলেন ৷মোখলেছ উদ্দিনের বড় ভাই আশরাফ আলীর সাথে কথা বলে জানা যায় , গত ৩ মাস মোখলেছ হোসেন কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া বউ বাজার এলাকায় একটি ভাড়াবাড়িতে বসবাস করত৷মকবুলের বড় ভাই বলেন গত ২৯ মার্চ রাত ৯টার দিকে আমার ভাই নিখোঁজ হয় । তার সর্বশেষ অবস্থান রাস্তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজে শনাক্ত করা হয়। ফুটেজে তার সঙ্গে কয়েকজনকে দেখা যায়। ধারণা করছি, তারাই তাকে অপহরণ করে মেরে ফেলেছে।
এ ঘটনায় গত ১৬ এপ্রিল কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় মামলা হয়। মামলায় মিজান শেখসহ অজ্ঞাত ৫ জনকে আসামি করা হয়।
পরে সিসি টিভির ফুটেজের কিশোরগঞ্জে নিখোঁজ মোখলেছ উদ্দিনের সন্ধানে সোমবার নরসুন্দা নদীতে অভিযান চালানো হয়৷
সূত্র ধরে পুলিশ কেওয়ারজুর ইউনিয়ন ফুলপুর গ্রামের শেফুল শেখের তিন ছেলে মিজান শেখ, মারজান শেখ ও রায়হান শেখকে গ্রেপ্তার করে। গত শনিবার বেলা ১০টা ৩০মিনিটে দিকে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানা যায়৷
ছাত্রলীগ নেতা মোখলেছ উদ্দিনকে হত্যা করে নরসুন্দা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে জানায় গ্রেপ্তারকৃতরা। পরে মরদেহ উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আল-আমিন হোসাইন বলেন, ‘অভিযানে এখন পর্যন্ত কিছুই পাওয়া যায়নি। আগামীকাল অভিযান চালিয়ে যাওয়া হবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়৷