অনিয়ম যেন নিয়মে পরিনত হয়েছে শিক্ষা ক্ষেত্রে ৷ বলছি কিশোরগঞ্জ সদর থানার আওতায় আরজত আতরজান স্কুলের কথা ৷ আরজত আতরজান স্কুলটি ১৯৬৭ সালে পশ্চিম তারা পাশায় দানবীর ওয়ালী নেওয়াজ খান সাহেব বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন ৷
জানা যায়, ছাত্র আন্দোলন করার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫-৯-২৪ইং তারিখে উক্ত স্কুল প্রধান শিক্ষক আবুবকর সিদ্দিক কে দুর্নীতির দায়ে জেলা প্রশাসক মহোদয় সাময়িকভাবে দায়িত্ব থেকে অব্যাহিত দেন ৷
পাশাপাশি স্কুলের সহকারী শিক্ষক লুৎফুরন্নেছা চিনুকে ছাত্রীদের সাথে পর্দা বিষয়ে খারাপ আচরনের জন্য সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হয় ৷
এই বিষয়ে আরজত আতরজান উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক তদন্ত করছেন বলে জানা যায় ৷
এ অনুসন্ধানে আরও বেরিয়ে হলো আরজত আতরজান স্কুলের গন্থাগার কামরুজ্জামান রিপন শিক্ষকের বিরুদ্ধে চার বছর অনুপস্থিত থেকেও এমপিও এবং ভুয়া তথ্য দিয়ে টাইমস্কেল নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায় ৷
অনুসন্ধানে জানা যায়, আরজত আতরজান উচ্চ বিদ্যালয় কিশোরগঞ্জ ২০১০সালে একজন গ্রন্থাকার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয় ৷
গ্রন্থাকার হিসেবে ২০১০সালে কামরুজ্জামান রিপন উক্ত স্কুলে যোগদান করেন ৷
জানা যায়, যোগদান করার ২বছর পর ২০১২ সালে ২০১৫ সাল দীর্ঘ চার বছর স্কুলের হাজিরা খাতায় অনুপস্থিত ছিল৷ গ্রন্থাকার কামরুজ্জামান স্কুলের চাকরীতে অনুপস্থিত থেকে চার বছর একটি এনজিওতে চাকরী করেন ৷
সরজমিনে বিষয়টি নিয়ে স্কুলের নাম প্রকাশে অনীহা কয়েকজন সিনিয়র শিক্ষকদের সাথে কথা বললে তাঁরা জানান, গ্রন্থাকার কামরুজ্জামান রিপন ২০১২সাল থেকে ২০১৫সাল পর্যন্ত স্কুলে ছিলেন না ৷ তিনি ২০১৬সালের শেষের দিকে পুনরাই স্কুলে যোগদান করেন ৷এছাড়াও ২০১৫সাল পর্যন্ত স্কুলে না থেকেও ২০১৩ সালের উপস্থিত দেখিয়ে টাইমস্কেল নেন যা রীতিমত সবাইকে বিষ্মিত করেছে ৷
এই বিষয়ে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জিনিয়া শারমীনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোনে পাওয়া যায়নি ৷
অনুসন্ধানে প্রমান হিসেবে স্কুলের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর থেকে আসা ১৯-১১-২০১৫সালের তালিকার সহঃগ্রন্থাগারিকে কামরুজ্জামান রিপনের নাম ছিল না ৷ তাহলে তিনি কিভাবে ২০১৩সাল থেকে উপস্থিত দেখিয়ে পেস্কেল নেন যা অবৈধ ও জালিয়াতি করে নেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত হয় ৷
২০১৫সালে পরিদর্শন কর্মকর্তা হিসেবে স্কুল এসেছিলেন কাজী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ৷
এই বিষয়ে কিশোরগঞ্জ শিক্ষা অফিসের যোগাযোগ করলে তাদের কাছে এই বিষয়ে কোন তথ্য দিতে পারেনি ৷
প্রশ্ন হলো একটি স্কুল এত অনিয়ম কেন??তা এখন সাধারন শিক্ষক ও কর্মচারী এবং এলাকাবাসী সবার মুখে মুখে ৷ এছাড়াও জানা যায় প্রধান শিক্ষক আবুবকর সিদ্দিক ২০১৯সালের যোগদানের পর থেকে স্কুলে বিভিন্ন অনিয়ম হচ্ছে তা স্কুলের বিভিন্ন শিক্ষকদের মুখ থেকে শুনা যায় ৷
জানা যায় স্কুলের শিক্ষকরা দীর্ঘ ২ বছর যাবৎ স্কুল থেকে কোন বেতন পাচ্ছে না ৷ প্রধান শিক্ষক কমিটিকে না জানিয়েও নামে বেনামে ভাউচার করে টাকা খরচ করেছে এমন তথ্য অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে৷স্কুলের এমন অনিয়ম বিষয়ে এলাকাবাসীদের সাথে কথা বললে তাদের কথা একটাই যারা স্কুলের পরিবেশ নষ্ট করে দুর্নীতি করে স্কুলের ফান্ড শূন্য করেছেন তাদের বিষয়ে যেন বিভাগীয় তদন্ত করে সঠিকভাবে আয় ব্যয় ওদীর্ঘ চার বছর না থেকেও কিভাবে স্কুলের গ্রন্থাকার নিয়োগটি বৈধ থাকে তা খুজে বের করা৷
Leave a Reply