প্যালেস্টাইনের গাজায় ইযরায়েলি আগ্রাসন শেষ করার জন্য ইযরায়েল ও হামাসের মধ্যে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকরে জাতিসংঘের সমর্থন চেয়েছে অ্যামেরিকা।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের কাউন্সিলের কাছে সোমবার দেয়া অ্যামেরিকার এক পৃষ্টার একটি খসড়া প্রস্তাব যাচাই করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
অ্যামেরিকার ওই খসড়ায় প্রস্তাবে হামাসকে শুক্রবার প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ঘোষণা করা যুদ্ধবিরতির চুক্তিটি গ্রহণ করা এবং বিলম্ব না করে কোন শর্ত ছাড়াই সম্পূর্ণরূপে এটি বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এ ছাড়া ওই খসড়া প্রস্তাবে গাজায় দুই পক্ষের মধ্যে শত্রুতা স্থায়ীভাবে বন্ধ করার লক্ষ্যে একবার সম্মত হওয়া চুক্তির শর্তাগুলো মেনে চলার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে অ্যামেরিকা।
নিরাপত্তে পরিষদে প্রস্তাবটি পাস করাতে অ্যামেরিকার ১৫ সদস্যের মধ্যে কমপক্ষে ৯টি দেশের ভোট প্রয়োজন।
এ ছাড়া অ্যামেরিকা, বৃটেইন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চায়নার মতো স্থায়ী পাঁচটি দেশের কেউ এ প্রস্তাবে ‘ভেটো’ দিতে পারবে না।
গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য হামাসের হাতে বন্দি সকল ইযরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি এবং রাফাহতে অবিলম্বে সামরিক আক্রমণ বন্ধ করার জন্য ইযরায়েলকে নির্দেশ দেয়ার দাবিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে দেয়া আলজেরিয়ার একটি খসড়া প্রস্তাবের এক সপ্তাহ পর অ্যামেরিকার পক্ষ থেকে এ প্রস্তাবটি আসল।
নিরাপত্তা পরিষদে দেয়া খসড়া প্রস্তাবের বিষয়ে জাতিসংঘের অ্যামেরিকান রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এ অঞ্চলসহ বিশ্বের অসংখ্য নেতা ও সরকার এই পরিকল্পনাকে সমর্থন করেছে এবং আমরা নিরাপত্তা পরিষদকে এই যুদ্ধবিরতির চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানাতে তাদের সঙ্গে যোগ দেয়ার আহ্বান জানাই।’
নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের প্রস্তাবটি গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়ে অ্যামেরিকান রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ‘আমাদের অবশ্যই এই চুক্তির সমর্থনে এক কণ্ঠে কথা বলতে হবে।’
জি-সেভেনের নেতারা এক বিবৃতিতে বলেছেন যে তারা গাজায় সম্পূর্ণভাবে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির চুক্তিকে পরিপূর্ণ সমর্থন করে এটির সঙ্গে থাকবে।
সৌদি আরব, জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এবং ইজিপ্টের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এ বিষয়ে বলেছেন, অ্যামেরিকান যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।