কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে পাওনা ৬০০/- টাকা না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে জনৈক নূর আলম (৩৭)কে হত্য্য করে ৷জানা যায় নূর আলমের বাড়ি চমকপুর, থানা- কটিয়াদী, পিতাঃ মোহাম্মদ আলী জেলা- কিশোরগঞ্জ৷ হত্যা মামলা রুজুর এক ঘণ্টার মধ্যেই এজাহারনামীয় আসামী ১। মো. রফিক মিয়া (৩০), পিতা- মো. আব্দুর রউফ মিয়া, সাং- চমকপুর, ২। আকাশ মিয়া (২৬), পিতা- মৃত মাহতাব উদ্দিন, ৩। হাদিস খাঁ (৪৮), পিতা- মৃত ছালেক খান, উভয় সাং- ভুনা, সর্ব থানা- কটিয়াদী, জেলা- কিশোরগঞ্জ ৷আসামীদের ২৬-০৭-২০২৩ খ্রি. দুপুর ২টার দিকে কটিয়াদী থানা এলাকা হতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়।
ভিকটিম জনৈক নূর আলম (৩৭) এর নিকট বিবাদীদের পাওনা ৬০০/- টাকা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ মতবিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৪-০৭-২০২৩ খ্রি. রাত অনুমান ১১.০০টার দিকে ভিকটিম জনৈক নূর আলম (৩৭)কে তার নিজ বসত ঘর থেকে বিবাদীগণ ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে জনৈক নূর আলম (৩৭) আর বাড়িতে ফিরে আসে নাই। পরবর্তীতে জনৈক নূর আলম (৩৭) এর আত্মীয়-স্বজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে। একপর্যায়ে ২৬-০৭-২০২৩ খ্রি. রাত অনুমান ১টা ১৫ মিনিটে জনৈক নূর আলম (৩৭) এর পিতা মোহাম্মদ আলী জনৈক মিন্টু মিয়ার পাটক্ষেতের পূর্ব-দক্ষিণ কোণে ওড়না দিয়ে ভিকটিম (জনৈক নূর আলম) এর হাত-পা বাঁধা মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় অদ্য ২৬-০৭-২০২৩ খ্রিঃ ভিকটিমের স্ত্রী শিউলি আক্তার (৩৪) বাদী হয়ে নয় জনের নামোল্লেখ করে কটিয়াদী থানায় হত্যা মামলা (কটিয়াদী থানার মামলা নং- ২৩, তারিখ: ২৬/০৭/২০২৩ খ্রি. ধারা- 302/34 The Penal Code, 1860) দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) জনাব মো. আনিছুল হক।
পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ রাসেল শেখ, পিপিএম (বার) মহোদয়ের নির্দেশে মামলা রুজুর পর পরই গঠিত কটিয়াদী থানার একটি বিশেষ টিম পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) জনাব মো. আনিছুল হক এর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ২৬-০৭-২০২৩ খ্রি. দুপুর ২টার দিকে এজাহারনামীয় মূল বিবাদী মো. রফিক মিয়া (৩০) সহ আকাশ মিয়া (২৬) এবং হাদিস খাঁ (৪৮)দের গ্রেফতার করেন।
এজাহারনামীয় মূল বিবাদী মো. রফিক মিয়া (৩০)কে বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করলে CrPC,1898 এর 164 ধারায় নিজেই মূল ঘটনা ঘটিয়েছেন মর্মে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জনাব পার্থ ভদ্র বিবাদীর স্বপ্রণোদিত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। এছাড়াও, এজাহারনামীয় ধৃত অন্য বিবাদীদ্বয়কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন।