ওষুধের গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন এক চালক। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে থাকা শিক্ষার্থীরা গাড়িটি থামাতে বলেন। তারপর ওষুধের সেই গাড়ি খুলে ওষুধের পরিবর্তে পাওয়া যায় সরকারি গুরুত্বপূর্ণ নথি। শিক্ষার্থীরা চালক ও গাড়ি আটকে রাখেন। পরে চালক ও গাড়ি সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে ঘটে এ ঘটনা।
শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরদিন থেকেই রাজধানীসহ সারা দেশের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছে শিক্ষার্থীরা। সড়কে শৃঙ্খলার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে মাঝে মাঝেই তল্লাশি করছেন গাড়ি। আজ রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে ওষুধের একটি গাড়ি থামান তাঁরা। শিক্ষার্থীরা গাড়ির চালকের কাছে গাড়িতে কী আছে জানতে চাইলে, ওষুধের কথা জানানো হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীদের সন্দেহ হলে, তাঁরা সেটি দেখতে চায়। তখন কাভার্ড ভ্যানটি খুলে তাঁরা কোনো ওষুধ দেখতে পাননি। সেখানে ওষুধের পরিবর্তে দেখতে পান সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথি।
এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা গাড়ির চালককে প্রথমে দাঁড়াতে বলি। চালক প্রথমে বলেন, গাড়ি ভেতরে ওষুধ ও কাপড় রয়েছে। কিন্তু তারপরও আমরা সেটা দেখতে চাই। চালক বলেন, খুলবেন না। তারপর আমরা সবাই মিলে গাড়িটাকে ঘিরে ফেলি। তারপর খুলে দেখলাম গাড়িতে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন নথি।’
শিক্ষার্থীরা বলেন, ওই গাড়ির চালক পালাতে চেয়েছিলেন। তাঁর ড্রাইভিং লাইসেন্সও নেই। গাড়িতে মামলার কাগজ, অ্যাটর্নি জেনারেলের ছবি, ক্রেস্টসহ বিভিন্ন কাগজপত্র পাওয়া যায়। পরে চালক ও গাড়িটি সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়।