পৌর শহরের মজিবনগর মহল্লার বাসিন্দা মোছা: ফাতেমা খাতুন (৫৪)। ২টি চোখের মধ্যে একটি দিয়ে কিছুই দেখতে পান না। অন্যটি দিয়ে সামান্য দেখা পেলেও বর্তমানে অন্ধপ্রায় হয়ে সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন খুব দ্রত সময়ে তার চোখের অপারেশন করালে তিনি দেখতে পাবেন। এতে কমপক্ষে ৪০-৫০ হাজার টাকা প্রয়োজন।
জানা যায়, পৌর শহরের মজিবনগর মহল্লার বাসিন্দা ফাতেমা বেগমের স্বামী মো: লুকমান পেশায় একজন দিনমজুর। তাদের পরিবারে এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে মাহিন্দ্র ট্রাক্টর চালিয়ে নিজের সংসার চালাতেই হিমশিম খান। মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। প্রথমে ফাতেমা বেগমের একটি চোখ দিয়ে দেখতে সমস্যা হয়। পরে ২টি চোখ দিয়েই দেখতে সমস্যা হলে তিনি ঠাকুরগাঁওয়ে চিকিৎসকের স্বরানাপন্ন হন। এখানকার চিকিৎসকগণের পরামর্শে সামান্য কিছু টাকা জোগাড় করে তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার ইস্পাহানী ইসলামিয়া আই ইনস্টিটিউট এন্ড হসপিটাল, বাংলাদেশে ভর্তি হন। দীর্ঘদিন সেখানে চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে জানান তার একটি চোখ পুরোপুরী নষ্ট হয়ে গেছে, সেটা দিয়ে তিনি কিছুই দেখতে পান না। অপর চোখটিও নষ্টপ্রায়, সামান্য দেখতে পাচ্ছেন। খুব দ্রæত সময়ে অপারেশন করাতে পারলে তিনি দেখতে পাবেন।
ফাতেমা খাতুনের স্বামী মো: লুকমান বলেন, আমি একজন দিনমজুর। দিন এনে দিন খাওয়া মানুষ। শ্রমিকের কাজ করে সামান্য কিছু টাকা রোজগার করলেও তা দিয়ে ঠিকমত সংসার চালাতে পারি না। এ অবস্থায় আমার স্ত্রীর চিকিৎসায় ৪০-৫০ হাজার টাকা জোগাড় করা কিভাবে সম্ভব? অনেকের কাছে সহযোগিতা নিয়ে স্ত্রীকে ঢাকায় চিকিৎসা করাতে গিয়ে বর্তমানে আমি সর্বশান্ত। তার চিকিৎসায় প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আর্থিক সহযোগিতা কামনা করছি। আমার স্ত্রীকে বাঁচাতে অনুগ্রহ করে যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী আর্থিক সহযোগিতা করুন।
ফাতেমা খাতুনের চিকিৎসায় সাহায্য পাঠাতে তার স্বামী মো: লুকমানের বিকাশ নাম্বার : ০১৭২৩-৮১১৬৯৩ (পার্সোনাল) এর মাধ্যমে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা যাবে।