অপহরণের পর ৬ দিন অতিবাহিত হলেও সোনাইমুড়ি সরকারি কলেজের মানবিক বিভাগের এইচএসসি পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান জেমী উদ্ধার হয়নি।
সে সোনাইমুড়ির মাহতাপপুর গ্রামের নতুন বাড়ির আব্দুর রবের কন্যা। তাকে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সোনাইমুড়ি উপজেলাসংলগ্ন আলোকপাড়া রাস্তার মাথা থেকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে কাজী সাফি উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী। এ ঘটনায় পুলিশ কাজী সালাউদ্দিন ও মরিয়ম আক্তার ডলি নামের দুই জনকে গ্রেফতার করেছে। জেমী উদ্ধার না হওয়ায় পরিবারের সদ্যসদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
অপহূত জেমীর মা ফাতেমা বেগম জানান, কাজী সাফি উদ্দিন দীর্ঘদিন যাবত্ তার মেয়েকে হয়রানি করে আসছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি এবং তার মেয়ে জেমী সোনাইমুড়ি পৌর শহরের আইনজীবী চেম্বার থেকে কাজ শেষ করে সিএনজি অটোরিকশা দিয়ে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিলেন। এ সময় কাজি সাফি উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী কয়েকটি মোটরসাইকেল এবং একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা আলোকপাড়া রাস্তার সামনে অস্ত্রের মুখে তাদের গতিরোধ করে তাকে প্রচণ্ড মারধর করে অস্ত্রের মুখে তার মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়। তিনি থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনার স্থলে পৌঁছানের পূর্বে অপহরণকারীরা জেমীকে নিয়ে চলে যায়।
এ ব্যাপারে জেমীর মা ফাতেমা বেগম কাজী সাফি উদ্দিনসহ চার জনের নাম উল্লেখ করে এবং পাঁচ-ছয় জন অজ্ঞাতকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। জেমীকে উদ্ধারে পুলিশের গড়িমসিরও অভিযোগ উঠেছে।
থানা অফিসার ইনচার্জ জিয়াউল হক জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। দুই জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপহূত জেমীকে উদ্ধার ও অপর আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান চালানো হচ্ছে।